যৌতুকের জন্য স্ত্রী নির্যাতন: বরখাস্ত হলেন সেই বিচারক

যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন করায় রংপুরের সাবেক জ্যেষ্ঠ সহকারী জজ দেবাংশু কুমার সরকারকে (বর্তমানে আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত) সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে শনিবার (২৯ জুন) আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগে প্রকাশিত প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, আইন ও বিচার বিভাগে সংযুক্ত কর্মকর্তা (সিনিয়র সহকারী জজ) দেবাংশু কুমার সরকারের বিরুদ্ধে হৃদিতা সরকারের দায়ের করা পিটিশন মামলায় (৩৭/২০২২) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১, রংপুর কর্তৃক নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০, এর অধীন অপরাধ বিচারের উদ্দেশ্যে আমলে গ্রহণ করা হয়েছে। এ অবস্থায় জুডিসিয়াল সার্ভিস (শৃঙ্খলা) বিধিমালা, ২০১৭ এর বিধি ২৫(১) (ক) অনুযায়ী, সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শ গ্রহণক্রমে তাকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।

এর আগে, যৌতুকের টাকার জন্য শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে ডা. হৃদিতা সরকার তার স্বামী দেবাংশু সরকারসহ চার জনের নামে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে মামলা করেন।

বাকি আসামিরা হলেন দেবাংশু সরকারের বাবা সুধাংশু কুমার সরকার (৬০), ফুপাত ভাই নিলয় দে সরকার (২৭) এবং চাচা রঞ্জন সরকার।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ২০১৫ সালে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের অনুষ্ঠানে স্বামী দেবাংশু সরকার ৩০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। পরে মেয়ের বাবা ৫০ ভরি সোনাসহ ২৫ লাখ টাকার উপহার সামগ্রী দেন। কিন্তু বিয়ের কিছুদিন পরেই দেবাংশু পুনরায় একটি নতুন গাড়ি কিনে দেওয়ার জন্য ৩০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় বাদী ডা. হৃদিতা সরকারকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালান।

এদিকে, মামলার পর গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-১ এর বিচারক আসামিদের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন। এরপর আসামিরা গত বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়েছিলেন।